Pages

তওবার উপকারিতা

তওবার উপকারিতা

তওবা করলে তিনটি বড় বড় উপকারিতা লাভ হয়। যথা:

১ম: আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ পালন। আর তাঁর নির্দেশ পালনেই নিহিত আছে ইহ ও পরকালের পরম সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ।

২য়: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণ। কারণ,তিনি দিনে একশ বার তওবা করতেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণের মাধ্যমেই আল্লাহর ভালবাসা অর্জন করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ
“হে নবী,আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাসো তবে আমার অনুসরণ কর তবে আল্লাহ ও তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন।” (সূরা আলে ইমরান: ৩১)

৩য়: তওবার মাধ্যমে গুনাহ সমূহ কেবল মোচন করা হয় না বরং সেগুলো নেকীতে রূপান্তরিত করে দেয়া হয়।  আল্লাহ তায়ালা বলেন,
إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ
“কিন্তু যারা তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহ গুলোকে নেকী দ্বারা পরিবর্তিত করে দিবেন।” (সূরা আল ফুরকান: ৭০)

সুপ্রিয় দীনি ভাই ও বোন,‌ আমরা তওবার মহত্ব ও মর্যাদা এবং তওবা কারীর প্রতি মহান আল্লাহর ভালবাসা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আরও জানতে পারলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও সর্বাধিক আল্লাহকে ভয় কারী হওয়া স্বত্বেও কত অধিক পরিমাণে তওবা করতেন। তাহলে এখন আমাদের চিন্তা করার দরকার আমাদের কী করণীয়? বাস্তবতা হল, আমরা তো বড়ই দুর্বল। আমরা অসংখ্য পাপের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি। তাই নয় কি?

অতএব, এখন আমাদের কর্তব্য, কাল বিলম্ব না করে তওবা করা এবং পাপের পুঁতি দুর্গন্ধময় জগত হতে বের হয়ে অনাবিল সুন্দর ও আলোকিত ভুবনে ফিরে আসা। আমাদের উচিৎ চির শান্তির নীড় জান্নাতের প্রত্যাশা করা এবং জান্নাতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিবেশী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা।

No comments:

Post a Comment